ড. সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়
এইসব নাটক বা নাটকসুলভ সমবেত পরিবেশনে থাকত গান-যন্ত্র সঙ্গীত, শরীরী কসরৎ এবং কখনও কখনও ঈশ্বর নিয়ে নাটক। তবে স্প্যানিশ অধিগ্রহণের পর প্রথম দিকে চার্চ-এর মধ্যে নানারকম প্রদশর্নী করা হত। আবার এরকম তথ্যও পাওয়া যায় যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক নাহয়াতি ভাষায় নাটক লিখেছেন।
সমালোচকগণ মনে করেন যে এই ধরনের নাটক আদতে সাধারণ মানুষের একটা অংশকে খ্রিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অস্ত্র ছিল। আধুনিক আজতেক সমাজে ঐতিহ্যপূর্ণ পাসতোরেলা (Pastorela) বড় দিনের উৎসবের সময় দেখান হয়। এক কথায় বলা যায় আজতেক সমাজ, সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে এক মিশ্র সমাজ, সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য।
এক্ষেত্রে মায়া ও ইনকাদের মত ভাষা বৈচিত্র্য দেখা যায় না। তবে এ সত্ত্বেও বলা যায় আজতেকরা বা আজতেক সমাজের বহুমুখী স্রোত-এর সাধারণ মানুষ নাইয়াতি (Nahuati) ভাষায় কথা বলত। ভারতীয়দের মধ্যে এক বিরাট অংশ এই ভাষায় নিজেদের হাব-ভাব লেখা এবং দৈনন্দিন কাজ সারত।
এছাড়া উত্তর-আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসকারী কোমানচে (Comanche) পিমা (Pima) অধিবাসী গোষ্ঠীও এই নাহুয়াতি ভাষায় কথা বলত।
(চলবে)