১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
ক্রেপাসকুলার সাপ: প্রকৃতির এক রহস্যময় সত্তা আমেরিকা ও চীন স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে: কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা পেরিয়ে কীভাবে এগোনো যায় কাল থেকেই কার্যকর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ইলিশের চেয়ে গরুর মাংসের দামই এখন বড় দুশ্চিন্তা নেভিল মাসকেলাইন: একটি প্যাডেড স্যুট পরা পুরুষ কীভাবে নেভিগেশন শিল্পে বিপ্লব আনলেন মাদারল্যান্ড কখনো ভোলে না’ বীরকে —তাইওয়ানে গোপন মিশনে শহীদ উউ শিকে স্মরণ করছে চীন বার্নার্ড জুলিয়ানের করুণ জীবন— যার উত্থান ও পতন সমান নাটকীয় ১৯২৯—যে বছরে ভেঙে পড়েছিল আমেরিকার স্বপ্ন নগদহীন পেমেন্ট ভালো—কিন্তু সেটি ব্যর্থ হলে সমস্যা মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫৭)

আইসিসির ‘হুমকি’ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

আজ যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)–সম্পর্কিত কার্যক্রমে যুক্ত চারজন বিদেশি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ ১৪২০৩—“ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ”—অনুযায়ী। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল—এই দুই দেশের সম্মতি ছাড়াই তাদের নাগরিকদের তদন্ত, গ্রেফতার, আটক বা বিচারপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায়

১) কিম্বারলি প্রোস্ট (কানাডা)
২) নিকোলা গিলু (ফ্রান্স)
৩) নাজহাত শামীম খান (ফিজি)
৪) মামে মানদিয়ায়ে নিয়াং (সেনেগাল)

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান: সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রশ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, আইসিসি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হচ্ছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সার্বভৌমত্ব উপেক্ষা করছে। এই আদালতকে যুক্তরাষ্ট্র একটি জাতীয় নিরাপত্তা–ঝুঁকি হিসেবে দেখছে এবং মনে করছে—এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘আইনকে অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

নীতিগত প্রতিশ্রুতি

যুক্তরাষ্ট্র সরকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, দেশের সেনাসদস্য, সার্বভৌম অধিকার ও মিত্রদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে—আইসিসির ‘অবৈধ’ ও ‘ভিত্তিহীন’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখে।

অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান

যেসব দেশ এখনো আইসিসিকে সমর্থন করে—এবং যাদের স্বাধীনতা বহু ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আত্মত্যাগের বিনিময়ে নিশ্চিত হয়েছিল—তাদেরকে এই ‘দেউলিয়া’ প্রতিষ্ঠানের দাবি প্রত্যাখ্যান করতে যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানিয়েছে।

আইনি ভিত্তি ও অতিরিক্ত তথ্য

আজকের সব লক্ষ্যভুক্ত ব্যক্তিকে নির্বাহী আদেশ ১৪২০৩–এর অধীনে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত তথ্যপত্র (ফ্যাক্ট শিট) দেখতে বলা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্রেপাসকুলার সাপ: প্রকৃতির এক রহস্যময় সত্তা

আইসিসির ‘হুমকি’ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

০৫:০৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

আজ যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)–সম্পর্কিত কার্যক্রমে যুক্ত চারজন বিদেশি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ ১৪২০৩—“ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ”—অনুযায়ী। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল—এই দুই দেশের সম্মতি ছাড়াই তাদের নাগরিকদের তদন্ত, গ্রেফতার, আটক বা বিচারপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায়

১) কিম্বারলি প্রোস্ট (কানাডা)
২) নিকোলা গিলু (ফ্রান্স)
৩) নাজহাত শামীম খান (ফিজি)
৪) মামে মানদিয়ায়ে নিয়াং (সেনেগাল)

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান: সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রশ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, আইসিসি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হচ্ছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সার্বভৌমত্ব উপেক্ষা করছে। এই আদালতকে যুক্তরাষ্ট্র একটি জাতীয় নিরাপত্তা–ঝুঁকি হিসেবে দেখছে এবং মনে করছে—এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘আইনকে অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

নীতিগত প্রতিশ্রুতি

যুক্তরাষ্ট্র সরকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, দেশের সেনাসদস্য, সার্বভৌম অধিকার ও মিত্রদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে—আইসিসির ‘অবৈধ’ ও ‘ভিত্তিহীন’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখে।

অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান

যেসব দেশ এখনো আইসিসিকে সমর্থন করে—এবং যাদের স্বাধীনতা বহু ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আত্মত্যাগের বিনিময়ে নিশ্চিত হয়েছিল—তাদেরকে এই ‘দেউলিয়া’ প্রতিষ্ঠানের দাবি প্রত্যাখ্যান করতে যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানিয়েছে।

আইনি ভিত্তি ও অতিরিক্ত তথ্য

আজকের সব লক্ষ্যভুক্ত ব্যক্তিকে নির্বাহী আদেশ ১৪২০৩–এর অধীনে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত তথ্যপত্র (ফ্যাক্ট শিট) দেখতে বলা হয়েছে।