১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
ক্রেপাসকুলার সাপ: প্রকৃতির এক রহস্যময় সত্তা আমেরিকা ও চীন স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে: কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা পেরিয়ে কীভাবে এগোনো যায় কাল থেকেই কার্যকর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ইলিশের চেয়ে গরুর মাংসের দামই এখন বড় দুশ্চিন্তা নেভিল মাসকেলাইন: একটি প্যাডেড স্যুট পরা পুরুষ কীভাবে নেভিগেশন শিল্পে বিপ্লব আনলেন মাদারল্যান্ড কখনো ভোলে না’ বীরকে —তাইওয়ানে গোপন মিশনে শহীদ উউ শিকে স্মরণ করছে চীন বার্নার্ড জুলিয়ানের করুণ জীবন— যার উত্থান ও পতন সমান নাটকীয় ১৯২৯—যে বছরে ভেঙে পড়েছিল আমেরিকার স্বপ্ন নগদহীন পেমেন্ট ভালো—কিন্তু সেটি ব্যর্থ হলে সমস্যা মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫৭)

চীনে বিশ্বের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ

প্রকল্পের ঘোষণা
চীনের সরকারি কর্মকর্তারা সম্প্রতি তিব্বতি মালভূমিতে অবস্থিত একটি বিশাল সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের অগ্রগতি প্রকাশ করেছেন। সম্পূর্ণ হলে এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সৌর খামার, যার আয়তন হবে প্রায় ৬১০ বর্গকিলোমিটার—যা মার্কিন শহর শিকাগোর সমান।

সৌরশক্তি স্থাপনে বিশ্বে শীর্ষে চীন
চীন বর্তমানে বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় অনেক দ্রুতগতিতে সৌরপ্যানেল বসাচ্ছে। এই বিনিয়োগের ফল ইতোমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশটির কার্বন নির্গমন আগের বছরের তুলনায় ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে।

কার্বন নির্গমনে ইতিবাচক অগ্রগতি
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন হয়তো প্রত্যাশার আগেই কার্বন নির্গমনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেছে। সরকারের লক্ষ্য ছিল ২০৩০ সালের আগে এই সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানো। তবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী দেশ হিসেবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধে চীনের আরও দ্রুত নির্গমন কমানো জরুরি।

কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্য
চীনের ঘোষিত লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০৬০ সালের মধ্যে দেশটিকে কার্বন নিরপেক্ষ হতে হবে। ফিনল্যান্ডভিত্তিক গবেষক লাউরি মাইলভির্তা, যিনি গবেষণাটির প্রধান বিশ্লেষক, বলেছেন—এটি অর্জন করতে হলে আগামী ৩৫ বছরে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩ শতাংশ হারে নির্গমন কমাতে হবে। তাঁর মতে, চীনের দ্রুত এই পথে নামা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের উত্থান
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে চীন ২১২ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করেছে। তুলনায়, ২০২৪ সালের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মোট সৌর ক্ষমতা ছিল মাত্র ১৭৮ গিগাওয়াট।

বর্তমানে চীনে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন জলবিদ্যুতকে ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর এটি বায়ুশক্তিকেও অতিক্রম করে দেশের সবচেয়ে বড় পরিচ্ছন্ন শক্তির উৎসে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। শুধু জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫১ গিগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে।


চীন বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প সেই অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। যদিও দেশটি ইতিবাচক পথে রয়েছে, তবে কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্যে পৌঁছাতে দ্রুত ও ধারাবাহিকভাবে নির্গমন কমানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্রেপাসকুলার সাপ: প্রকৃতির এক রহস্যময় সত্তা

চীনে বিশ্বের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ

০৫:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

প্রকল্পের ঘোষণা
চীনের সরকারি কর্মকর্তারা সম্প্রতি তিব্বতি মালভূমিতে অবস্থিত একটি বিশাল সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের অগ্রগতি প্রকাশ করেছেন। সম্পূর্ণ হলে এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সৌর খামার, যার আয়তন হবে প্রায় ৬১০ বর্গকিলোমিটার—যা মার্কিন শহর শিকাগোর সমান।

সৌরশক্তি স্থাপনে বিশ্বে শীর্ষে চীন
চীন বর্তমানে বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় অনেক দ্রুতগতিতে সৌরপ্যানেল বসাচ্ছে। এই বিনিয়োগের ফল ইতোমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশটির কার্বন নির্গমন আগের বছরের তুলনায় ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে।

কার্বন নির্গমনে ইতিবাচক অগ্রগতি
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন হয়তো প্রত্যাশার আগেই কার্বন নির্গমনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেছে। সরকারের লক্ষ্য ছিল ২০৩০ সালের আগে এই সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানো। তবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী দেশ হিসেবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধে চীনের আরও দ্রুত নির্গমন কমানো জরুরি।

কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্য
চীনের ঘোষিত লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০৬০ সালের মধ্যে দেশটিকে কার্বন নিরপেক্ষ হতে হবে। ফিনল্যান্ডভিত্তিক গবেষক লাউরি মাইলভির্তা, যিনি গবেষণাটির প্রধান বিশ্লেষক, বলেছেন—এটি অর্জন করতে হলে আগামী ৩৫ বছরে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩ শতাংশ হারে নির্গমন কমাতে হবে। তাঁর মতে, চীনের দ্রুত এই পথে নামা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের উত্থান
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে চীন ২১২ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করেছে। তুলনায়, ২০২৪ সালের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মোট সৌর ক্ষমতা ছিল মাত্র ১৭৮ গিগাওয়াট।

বর্তমানে চীনে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন জলবিদ্যুতকে ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর এটি বায়ুশক্তিকেও অতিক্রম করে দেশের সবচেয়ে বড় পরিচ্ছন্ন শক্তির উৎসে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। শুধু জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫১ গিগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে।


চীন বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প সেই অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। যদিও দেশটি ইতিবাচক পথে রয়েছে, তবে কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্যে পৌঁছাতে দ্রুত ও ধারাবাহিকভাবে নির্গমন কমানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।