০৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
শীতের শুরুতে যুদ্ধের চাপ বাড়াচ্ছে ইউক্রেন, দীর্ঘ সংঘাতের ইঙ্গিত মস্কোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নতুন কড়াকড়ি, চাপের মুখে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির চাপ বাড়ছে,মানবিক সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভিয়েতনামের বিরল খনিজে ১৯ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এলএস ইকো এনার্জির নতুন মুম্বাই বিমানবন্দর চালু, উড়োজাহাজ খাতে আদানির এক লাখ কোটি টাকার বাজি চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত খনি কোম্পানির ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি, ইকুয়েডরের বড় তামা প্রকল্প কিনছে জিয়াংসি কপার সিউলই পারে যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া পরমাণু আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে: বাস্তবতার পথে নতুন কৌশল মার্কিন বাজারে ভারতের রপ্তানি বাড়লেও ভেতরে দুর্বলতার ইঙ্গিত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা চীনা গবেষকদের নতুন তত্ত্ব: সময় কি সত্যিই পেছনে যায় না ফুজিয়ান যুদ্ধজাহাজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা, জে–১০সি’র সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা: ২০২৫ সালে চীনের সামরিক অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ দিক

ট্রাম্পের দমন অভিযান: নিরাপদ এলাকায় সেনা মোতায়েন নিয়ে বিতর্ক

রাজধানীতে এক অস্বাভাবিক দৃশ্য
ওয়াশিংটনের জাতীয় মলে গত বৃহস্পতিবার একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল। শত শত জাতীয় গার্ড সৈনিক সামরিক পোশাকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, পর্যটকদের সঙ্গে ছবি তুলছেন, ফুড ট্রাক থেকে আইসক্রিম কিনছেন। এটি আমেরিকার রাজধানীর অন্যতম নিরাপদ এলাকা হলেও, হঠাৎ এত সেনা উপস্থিতি সাধারণ মানুষকে অবাক করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই মোতায়েন করা হলেও, অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—এটি আসলে অপরাধ দমন অভিযান নাকি রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন?

সৈনিকদের অনুভূতি: “কিছুই করার নেই”
আফ্রিকান-আমেরিকান ইতিহাস ও সংস্কৃতি জাদুঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পশ্চিম ভার্জিনিয়ার জাতীয় গার্ড সদস্য সার্জেন্ট ফক্স স্পষ্ট করলেন, “এটা বিরক্তিকর। আমরা তেমন কিছু করছি না।” সৈন্যদের বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে তারা সক্রিয় কোনো অভিযানে অংশ নিচ্ছেন না। অনেকেই জানিয়েছেন, তাদের কাজ মূলত দৃশ্যমান উপস্থিতি বজায় রাখা—কিন্তু গ্রেফতার বা অপরাধ মোকাবিলায় সরাসরি যুক্ত নন।

মোতায়েনের পরিসংখ্যান ও উৎস
ওয়াশিংটনে প্রায় ২,০০০ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১,২০০ জন এসেছে ছয়টি রিপাবলিকান শাসিত রাজ্য থেকে। এই মোতায়েনকে ট্রাম্প বর্ণনা করছেন “অপরাধ সংকট” মোকাবেলার অংশ হিসেবে। তবে বাস্তবতা হলো, গত কয়েক বছরে ওয়াশিংটনে অপরাধের সামগ্রিক হার কমেছে। অর্থাৎ সরকারের দেওয়া ব্যাখ্যার সঙ্গে মাঠপর্যায়ের তথ্যের মধ্যে বড় ধরনের অমিল রয়েছে।

বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু: অপরাধ দমন নাকি ক্ষমতার প্রদর্শন?
সেনারা মূলত ওয়াশিংটন মনুমেন্ট, লিঙ্কন মেমোরিয়াল এবং মার্কিন ক্যাপিটলের আশেপাশে অবস্থান করছে। এগুলো পর্যটনকেন্দ্রিক এলাকা এবং তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। অথচ শহরের দক্ষিণ-পূর্বের ওয়ার্ড ৮-এ, যেখানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংস অপরাধের হার সবচেয়ে বেশি, সেখানে কোনো সেনা নেই।
ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাওসর প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন: “আমার মনে হয় না এটি অপরাধ দমনের উদ্দেশ্যে। বরং রাজধানীতে একটি সশস্ত্র মিলিশিয়া গড়ে তোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।”

অস্ত্রবিহীন সৈন্য ও ভবিষ্যতের প্রস্তুতি
শুরুতে সৈন্যদের কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। তবে পেন্টাগন জানায়, শিগগিরই তারা সরকারি সরবরাহকৃত অস্ত্রসহ মোতায়েন থাকবে। ফলে শহরের সাধারণ মানুষের মনে আরও শঙ্কা তৈরি হয়েছে যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর নামে রাজধানীকে সামরিক পরিবেশে পরিণত করা হচ্ছে।

উপেক্ষিত ওয়ার্ড ৮: বাস্তব সমস্যার কেন্দ্র
ওয়ার্ড ৮, ওয়াশিংটনের সবচেয়ে অপরাধপ্রবণ এলাকা। সেখানকার বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যে, অপরাধ দমনে সেনা দরকার হলেও সেখানে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। ৫০ বছর বয়সী শাওনা টার্নার বলেন, “আমি কাউকে দেখিনি। অথচ এ জায়গাটিই সবচেয়ে বেশি নজরদারির প্রয়োজন।”
এ অভিযোগে আরও স্পষ্ট হচ্ছে যে, সৈন্যদের অবস্থান বেছে নেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বাস্তব অপরাধ দমনের কৌশল হিসেবে নয়।

হোয়াইট হাউসের ব্যাখ্যা
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আবিগেল জ্যাকসন বলেছেন, “ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা এখনও কোনো গ্রেফতারে জড়িত নয়। তাদের ভূমিকা মূলত ফেডারেল সম্পদ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং দৃশ্যমান উপস্থিতি নিশ্চিত করা।” একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ফেডারেল এজেন্টরা প্রতিদিন অপরাধপ্রবণ এলাকায় গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে।

ফেডারেল নিয়ন্ত্রণ: স্থানীয় পুলিশের ক্ষমতা হ্রাস
ট্রাম্প চলতি মাসের শুরুতে ঘোষণা করেন যে, ওয়াশিংটনের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব আংশিকভাবে ফেডারেল সরকারের হাতে যাচ্ছে। এরপর থেকেই এফবিআইসহ অন্যান্য সংস্থা ব্যাপক গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের আশঙ্কা, এভাবে ধাপে ধাপে শহরের নির্বাচিত প্রশাসনের কর্তৃত্ব হ্রাস করা হচ্ছে।

ইতিহাস ও নজির: সেনা মোতায়েনের বিরল উদাহরণ
মার্কিন ইতিহাসে জাতীয় গার্ড সাধারণত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বড় ধরনের প্রতিবাদ বা প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানের মতো আয়োজনে নিরাপত্তা জোরদারে মোতায়েন হয়েছে। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির দাঙ্গার সময় এমন মোতায়েন হয়েছিল। কিন্তু অপরাধ দমনের অজুহাতে শান্তিপূর্ণ এলাকায় সেনা নামানো একেবারেই বিরল এবং বিতর্কিত।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল র‌্যান্ডি ম্যানার বলেছেন, “আমাদের জীবদ্দশায় কোনো প্রেসিডেন্ট বলেননি যে ইউনিফর্ম পরিহিত সৈন্য অপরাধ কমাবে। এটি দুঃখজনক এবং আমরা দ্রুত সামরিকায়িত পরিবেশের দিকে যাচ্ছি।”

ভবিষ্যতের ইঙ্গিত: অন্য শহরে বিস্তৃত হতে পারে দমন অভিযান
ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ওয়াশিংটনের পর শিকাগো ও নিউইয়র্কের মতো শহরেও একই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এটি কেবল রাজধানী নয়, বরং ডেমোক্র্যাট শাসিত বড় শহরগুলোতে প্রেসিডেন্টের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কৌশল।

জনমত: সমর্থন ও সমালোচনা দুই-ই
সবাই যে এর বিরোধিতা করছে তা নয়। অনেক পর্যটক বলেছেন, সৈন্য উপস্থিতি রাজধানীকে “পরিষ্কার ও নিরাপদ” মনে করাচ্ছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বেশি করে প্রশ্ন তুলছেন—বাস্তব অপরাধপ্রবণ এলাকায় সৈন্য না পাঠিয়ে কেন শুধু দৃশ্যমান পর্যটন এলাকায় মোতায়েন করা হলো।

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতের শুরুতে যুদ্ধের চাপ বাড়াচ্ছে ইউক্রেন, দীর্ঘ সংঘাতের ইঙ্গিত মস্কোর

ট্রাম্পের দমন অভিযান: নিরাপদ এলাকায় সেনা মোতায়েন নিয়ে বিতর্ক

১২:২১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীতে এক অস্বাভাবিক দৃশ্য
ওয়াশিংটনের জাতীয় মলে গত বৃহস্পতিবার একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল। শত শত জাতীয় গার্ড সৈনিক সামরিক পোশাকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, পর্যটকদের সঙ্গে ছবি তুলছেন, ফুড ট্রাক থেকে আইসক্রিম কিনছেন। এটি আমেরিকার রাজধানীর অন্যতম নিরাপদ এলাকা হলেও, হঠাৎ এত সেনা উপস্থিতি সাধারণ মানুষকে অবাক করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই মোতায়েন করা হলেও, অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—এটি আসলে অপরাধ দমন অভিযান নাকি রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন?

সৈনিকদের অনুভূতি: “কিছুই করার নেই”
আফ্রিকান-আমেরিকান ইতিহাস ও সংস্কৃতি জাদুঘরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পশ্চিম ভার্জিনিয়ার জাতীয় গার্ড সদস্য সার্জেন্ট ফক্স স্পষ্ট করলেন, “এটা বিরক্তিকর। আমরা তেমন কিছু করছি না।” সৈন্যদের বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে তারা সক্রিয় কোনো অভিযানে অংশ নিচ্ছেন না। অনেকেই জানিয়েছেন, তাদের কাজ মূলত দৃশ্যমান উপস্থিতি বজায় রাখা—কিন্তু গ্রেফতার বা অপরাধ মোকাবিলায় সরাসরি যুক্ত নন।

মোতায়েনের পরিসংখ্যান ও উৎস
ওয়াশিংটনে প্রায় ২,০০০ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১,২০০ জন এসেছে ছয়টি রিপাবলিকান শাসিত রাজ্য থেকে। এই মোতায়েনকে ট্রাম্প বর্ণনা করছেন “অপরাধ সংকট” মোকাবেলার অংশ হিসেবে। তবে বাস্তবতা হলো, গত কয়েক বছরে ওয়াশিংটনে অপরাধের সামগ্রিক হার কমেছে। অর্থাৎ সরকারের দেওয়া ব্যাখ্যার সঙ্গে মাঠপর্যায়ের তথ্যের মধ্যে বড় ধরনের অমিল রয়েছে।

বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু: অপরাধ দমন নাকি ক্ষমতার প্রদর্শন?
সেনারা মূলত ওয়াশিংটন মনুমেন্ট, লিঙ্কন মেমোরিয়াল এবং মার্কিন ক্যাপিটলের আশেপাশে অবস্থান করছে। এগুলো পর্যটনকেন্দ্রিক এলাকা এবং তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। অথচ শহরের দক্ষিণ-পূর্বের ওয়ার্ড ৮-এ, যেখানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংস অপরাধের হার সবচেয়ে বেশি, সেখানে কোনো সেনা নেই।
ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাওসর প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন: “আমার মনে হয় না এটি অপরাধ দমনের উদ্দেশ্যে। বরং রাজধানীতে একটি সশস্ত্র মিলিশিয়া গড়ে তোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।”

অস্ত্রবিহীন সৈন্য ও ভবিষ্যতের প্রস্তুতি
শুরুতে সৈন্যদের কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। তবে পেন্টাগন জানায়, শিগগিরই তারা সরকারি সরবরাহকৃত অস্ত্রসহ মোতায়েন থাকবে। ফলে শহরের সাধারণ মানুষের মনে আরও শঙ্কা তৈরি হয়েছে যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর নামে রাজধানীকে সামরিক পরিবেশে পরিণত করা হচ্ছে।

উপেক্ষিত ওয়ার্ড ৮: বাস্তব সমস্যার কেন্দ্র
ওয়ার্ড ৮, ওয়াশিংটনের সবচেয়ে অপরাধপ্রবণ এলাকা। সেখানকার বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যে, অপরাধ দমনে সেনা দরকার হলেও সেখানে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। ৫০ বছর বয়সী শাওনা টার্নার বলেন, “আমি কাউকে দেখিনি। অথচ এ জায়গাটিই সবচেয়ে বেশি নজরদারির প্রয়োজন।”
এ অভিযোগে আরও স্পষ্ট হচ্ছে যে, সৈন্যদের অবস্থান বেছে নেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বাস্তব অপরাধ দমনের কৌশল হিসেবে নয়।

হোয়াইট হাউসের ব্যাখ্যা
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আবিগেল জ্যাকসন বলেছেন, “ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা এখনও কোনো গ্রেফতারে জড়িত নয়। তাদের ভূমিকা মূলত ফেডারেল সম্পদ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং দৃশ্যমান উপস্থিতি নিশ্চিত করা।” একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ফেডারেল এজেন্টরা প্রতিদিন অপরাধপ্রবণ এলাকায় গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে।

ফেডারেল নিয়ন্ত্রণ: স্থানীয় পুলিশের ক্ষমতা হ্রাস
ট্রাম্প চলতি মাসের শুরুতে ঘোষণা করেন যে, ওয়াশিংটনের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব আংশিকভাবে ফেডারেল সরকারের হাতে যাচ্ছে। এরপর থেকেই এফবিআইসহ অন্যান্য সংস্থা ব্যাপক গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের আশঙ্কা, এভাবে ধাপে ধাপে শহরের নির্বাচিত প্রশাসনের কর্তৃত্ব হ্রাস করা হচ্ছে।

ইতিহাস ও নজির: সেনা মোতায়েনের বিরল উদাহরণ
মার্কিন ইতিহাসে জাতীয় গার্ড সাধারণত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বড় ধরনের প্রতিবাদ বা প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানের মতো আয়োজনে নিরাপত্তা জোরদারে মোতায়েন হয়েছে। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির দাঙ্গার সময় এমন মোতায়েন হয়েছিল। কিন্তু অপরাধ দমনের অজুহাতে শান্তিপূর্ণ এলাকায় সেনা নামানো একেবারেই বিরল এবং বিতর্কিত।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল র‌্যান্ডি ম্যানার বলেছেন, “আমাদের জীবদ্দশায় কোনো প্রেসিডেন্ট বলেননি যে ইউনিফর্ম পরিহিত সৈন্য অপরাধ কমাবে। এটি দুঃখজনক এবং আমরা দ্রুত সামরিকায়িত পরিবেশের দিকে যাচ্ছি।”

ভবিষ্যতের ইঙ্গিত: অন্য শহরে বিস্তৃত হতে পারে দমন অভিযান
ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ওয়াশিংটনের পর শিকাগো ও নিউইয়র্কের মতো শহরেও একই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এটি কেবল রাজধানী নয়, বরং ডেমোক্র্যাট শাসিত বড় শহরগুলোতে প্রেসিডেন্টের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কৌশল।

জনমত: সমর্থন ও সমালোচনা দুই-ই
সবাই যে এর বিরোধিতা করছে তা নয়। অনেক পর্যটক বলেছেন, সৈন্য উপস্থিতি রাজধানীকে “পরিষ্কার ও নিরাপদ” মনে করাচ্ছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বেশি করে প্রশ্ন তুলছেন—বাস্তব অপরাধপ্রবণ এলাকায় সৈন্য না পাঠিয়ে কেন শুধু দৃশ্যমান পর্যটন এলাকায় মোতায়েন করা হলো।