০৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -২৫) ভিয়েতনাম রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারভিশন গান প্রতিযোগিতায় বিজয়ী জাপানিদের দীর্ঘ জীবনের রহস্য কী, কেন সেখানে এত বেশি শতবর্ষী নারী? চীনের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি হতাশাজনক, তবে সৌরশক্তিতে অবিশ্বাস্য অগ্রগতি দেশে আবারও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এইচ-১বি ভিসা ফি পুরনো ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় আইফোন এয়ার থেকে শুরু করে পাওয়ারহাউস ১৭ প্রো ম্যাক্স: আপনার জন্য সঠিক আইফোনটি খুঁজে নিন রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য: হবিগঞ্জ ভ্রমণের এক বিস্তৃত গাইড এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানো: যুক্তরাষ্ট্রের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, ভারতের জন্য সুযোগ কোঙ্কণ উপকূলের ভূচিত্রকর্ম ২৪ হাজার বছরের পুরোনো হতে পারে—প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর

এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানো: যুক্তরাষ্ট্রের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, ভারতের জন্য সুযোগ

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে চমকে উঠল প্রযুক্তি খাত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন যে, এইচ-১বি ভিসার জন্য এখন থেকে ১ লাখ ডলার ফি দিতে হবে। রবিবার থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে। এতদিন ভিসা আবেদনের খরচ ছিল ২ থেকে ৫ হাজার ডলারের মধ্যে, যা নির্ভর করত প্রতিষ্ঠানের আকারের ওপর। সাধারণত তিন বছরের জন্য দেওয়া এই ভিসা নবায়নযোগ্য এবং মার্কিন কোম্পানিগুলো উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশি কর্মী আনার জন্য ব্যাপকভাবে এটি ব্যবহার করে থাকে। এদের বড় অংশই ভারতীয়।

ট্রাম্প বলেছেন, এই পদক্ষেপ মার্কিন শ্রমিকদের চাকরি রক্ষায় সহায়ক হবে। তাঁর দাবি, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলো সস্তা বিদেশি শ্রমিক এনে মার্কিনদের কাজ কেড়ে নিচ্ছে। তিনি এটিকে অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয় হিসেবেও দেখেছেন।


“আমেরিকার ক্ষতি, ভারতের লাভ”

ভারতের নীতি আয়োগের সাবেক সিইও অমিতাভ কান্ত বলেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১ লাখ ডলারের ফি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনকে ধ্বংস করবে, আর ভারতের উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করবে। গ্লোবাল প্রতিভার দরজা বন্ধ করে আমেরিকা আসলে গবেষণা, পেটেন্ট, উদ্ভাবন আর স্টার্টআপগুলোকে নিয়ে যাচ্ছে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে আর গুরগাঁওয়ে।”

তিনি মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে আগ্রহী ডাক্তার, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানীরা এবার ভারতে সুযোগ খুঁজবেন।


অফশোরিং আরও বাড়বে

ইনফোসিসের প্রাক্তন শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারী মোহনদাস পাই মন্তব্য করেছেন, এত বেশি ফি দেওয়ার মতো কেউ রাজি হবেন না। তাঁর মতে, এতে নতুন আবেদনকারীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাবে।

তিনি বলেন, “ফলাফল হবে এই যে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিগুলো আরও বেশি কাজ ভারতে সরিয়ে দেবে। কারণ, একদিকে প্রয়োজনীয় প্রতিভা পাওয়া যাবে না, অন্যদিকে খরচও হবে অস্বাভাবিক। আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে অফশোরিং কার্যক্রম বাড়তে শুরু করবে।”


প্রতিভাবানরা ফিরবেন ভারতে

উদ্যোক্তা ও স্ন্যাপডিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুনাল বেহল মনে করেন, এ সিদ্ধান্ত অনেক দক্ষ পেশাজীবীকে ভারতে ফিরিয়ে আনবে। তিনি লিখেছেন, “নতুন এইচ-১বি নিয়মের কারণে বিপুল সংখ্যক প্রতিভাবান মানুষ ভারতে ফিরে আসবেন। শুরুতে কঠিন মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে তাঁদের জন্য এটা লাভজনক হবে, কারণ ভারতে প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়েছে।”

নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “২০০৭ সালে মাইক্রোসফটে কাজ করার সময় আমার এইচ-১বি ভিসা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তখন ভীষণ কষ্ট হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতে ফিরে আসাটা জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছিল। আজ যাঁরা প্রভাবিত হচ্ছেন, তাঁদের বলব — পজিটিভ থাকুন, সামনে আরও ভালো কিছু আছে।”


যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচনা

এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও সমালোচিত হচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি একে বলেছেন “বেপরোয়া” ও “দুর্ভাগ্যজনক”। তাঁর মতে, এভাবে আমেরিকা উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করছে, যারা এতদিন মার্কিন অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে।

সিলিকন ভ্যালির কমিউনিটি নেতা অজয় ভূটোরিয়া সতর্ক করে বলেছেন, এ ধরনের ফি বিশ্বসেরা প্রতিভাদের নিরুৎসাহিত করবে এবং অঞ্চলের প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম দুর্বল করবে।


ভারতের জন্য ইতিবাচক দিক

ভারতীয় পেশাজীবীদের জন্য এটি নতুন বাধা হলেও অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন দীর্ঘমেয়াদে ভারতের জন্য সুযোগ তৈরি হবে। বেশি খরচের কারণে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমলে প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে। এর ফলে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে, গুরগাঁওয়ের মতো শহরে কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন বাড়বে।

মোহনদাস পাইয়ের মতে, এইচ-১বি ভিসাধারীরা এমনিতেই বছরে গড়ে এক লাখ ডলারের বেশি বেতন পান। তাই তাদের “সস্তা শ্রমিক” বলা সঠিক নয়। বরং এ সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উদ্ভাবন সরিয়ে ভারতে নিয়ে আসবে।


তথ্য যা বলছে

মার্কিন সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের (USCIS) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি এইচ-১বি অনুমোদন পেয়েছে অ্যামাজন (১০,০৪৪টি)। এরপর রয়েছে টিসিএস (৫,৫০৫), মাইক্রোসফট (৫,১৮৯), মেটা (৫,১২৩), অ্যাপল (৪,২০২) ও গুগল (৪,১৮১)। আরও বড় আবেদনকারী ছিল কগনিজ্যান্ট, জেপি মরগান চেজ, ওয়ালমার্ট, ডেলোয়েট, ইনফোসিস, এলটিআই মাইন্ডট্রি ও এইচসিএল আমেরিকা।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত ফি শুধু ভারতীয় আইটি সেবা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।


ট্রাম্প হয়তো অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এ সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা লাভবান হতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে আমেরিকার প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা নষ্ট হবে। অমিতাভ কান্তের ভাষায়, “আমেরিকার ক্ষতি হবে ভারতের লাভ।” আর ভারতের প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি হতে পারে বৈশ্বিক উদ্ভাবনকেন্দ্র হয়ে ওঠার এক বড় সুযোগ।

রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -২৫)

এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানো: যুক্তরাষ্ট্রের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, ভারতের জন্য সুযোগ

১২:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে চমকে উঠল প্রযুক্তি খাত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন যে, এইচ-১বি ভিসার জন্য এখন থেকে ১ লাখ ডলার ফি দিতে হবে। রবিবার থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে। এতদিন ভিসা আবেদনের খরচ ছিল ২ থেকে ৫ হাজার ডলারের মধ্যে, যা নির্ভর করত প্রতিষ্ঠানের আকারের ওপর। সাধারণত তিন বছরের জন্য দেওয়া এই ভিসা নবায়নযোগ্য এবং মার্কিন কোম্পানিগুলো উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশি কর্মী আনার জন্য ব্যাপকভাবে এটি ব্যবহার করে থাকে। এদের বড় অংশই ভারতীয়।

ট্রাম্প বলেছেন, এই পদক্ষেপ মার্কিন শ্রমিকদের চাকরি রক্ষায় সহায়ক হবে। তাঁর দাবি, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলো সস্তা বিদেশি শ্রমিক এনে মার্কিনদের কাজ কেড়ে নিচ্ছে। তিনি এটিকে অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয় হিসেবেও দেখেছেন।


“আমেরিকার ক্ষতি, ভারতের লাভ”

ভারতের নীতি আয়োগের সাবেক সিইও অমিতাভ কান্ত বলেছেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১ লাখ ডলারের ফি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনকে ধ্বংস করবে, আর ভারতের উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করবে। গ্লোবাল প্রতিভার দরজা বন্ধ করে আমেরিকা আসলে গবেষণা, পেটেন্ট, উদ্ভাবন আর স্টার্টআপগুলোকে নিয়ে যাচ্ছে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে আর গুরগাঁওয়ে।”

তিনি মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে আগ্রহী ডাক্তার, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানীরা এবার ভারতে সুযোগ খুঁজবেন।


অফশোরিং আরও বাড়বে

ইনফোসিসের প্রাক্তন শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারী মোহনদাস পাই মন্তব্য করেছেন, এত বেশি ফি দেওয়ার মতো কেউ রাজি হবেন না। তাঁর মতে, এতে নতুন আবেদনকারীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যাবে।

তিনি বলেন, “ফলাফল হবে এই যে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিগুলো আরও বেশি কাজ ভারতে সরিয়ে দেবে। কারণ, একদিকে প্রয়োজনীয় প্রতিভা পাওয়া যাবে না, অন্যদিকে খরচও হবে অস্বাভাবিক। আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে অফশোরিং কার্যক্রম বাড়তে শুরু করবে।”


প্রতিভাবানরা ফিরবেন ভারতে

উদ্যোক্তা ও স্ন্যাপডিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুনাল বেহল মনে করেন, এ সিদ্ধান্ত অনেক দক্ষ পেশাজীবীকে ভারতে ফিরিয়ে আনবে। তিনি লিখেছেন, “নতুন এইচ-১বি নিয়মের কারণে বিপুল সংখ্যক প্রতিভাবান মানুষ ভারতে ফিরে আসবেন। শুরুতে কঠিন মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে তাঁদের জন্য এটা লাভজনক হবে, কারণ ভারতে প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়েছে।”

নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “২০০৭ সালে মাইক্রোসফটে কাজ করার সময় আমার এইচ-১বি ভিসা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তখন ভীষণ কষ্ট হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতে ফিরে আসাটা জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছিল। আজ যাঁরা প্রভাবিত হচ্ছেন, তাঁদের বলব — পজিটিভ থাকুন, সামনে আরও ভালো কিছু আছে।”


যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচনা

এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও সমালোচিত হচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি একে বলেছেন “বেপরোয়া” ও “দুর্ভাগ্যজনক”। তাঁর মতে, এভাবে আমেরিকা উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করছে, যারা এতদিন মার্কিন অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে।

সিলিকন ভ্যালির কমিউনিটি নেতা অজয় ভূটোরিয়া সতর্ক করে বলেছেন, এ ধরনের ফি বিশ্বসেরা প্রতিভাদের নিরুৎসাহিত করবে এবং অঞ্চলের প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম দুর্বল করবে।


ভারতের জন্য ইতিবাচক দিক

ভারতীয় পেশাজীবীদের জন্য এটি নতুন বাধা হলেও অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন দীর্ঘমেয়াদে ভারতের জন্য সুযোগ তৈরি হবে। বেশি খরচের কারণে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমলে প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে। এর ফলে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে, গুরগাঁওয়ের মতো শহরে কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি উন্নয়ন বাড়বে।

মোহনদাস পাইয়ের মতে, এইচ-১বি ভিসাধারীরা এমনিতেই বছরে গড়ে এক লাখ ডলারের বেশি বেতন পান। তাই তাদের “সস্তা শ্রমিক” বলা সঠিক নয়। বরং এ সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উদ্ভাবন সরিয়ে ভারতে নিয়ে আসবে।


তথ্য যা বলছে

মার্কিন সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের (USCIS) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি এইচ-১বি অনুমোদন পেয়েছে অ্যামাজন (১০,০৪৪টি)। এরপর রয়েছে টিসিএস (৫,৫০৫), মাইক্রোসফট (৫,১৮৯), মেটা (৫,১২৩), অ্যাপল (৪,২০২) ও গুগল (৪,১৮১)। আরও বড় আবেদনকারী ছিল কগনিজ্যান্ট, জেপি মরগান চেজ, ওয়ালমার্ট, ডেলোয়েট, ইনফোসিস, এলটিআই মাইন্ডট্রি ও এইচসিএল আমেরিকা।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত ফি শুধু ভারতীয় আইটি সেবা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।


ট্রাম্প হয়তো অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এ সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা লাভবান হতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে আমেরিকার প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা নষ্ট হবে। অমিতাভ কান্তের ভাষায়, “আমেরিকার ক্ষতি হবে ভারতের লাভ।” আর ভারতের প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি হতে পারে বৈশ্বিক উদ্ভাবনকেন্দ্র হয়ে ওঠার এক বড় সুযোগ।