সরবরাহ–বৈচিত্র্য ও সেমিকন্ডাক্টর ঝুঁকি মানচিত্র
বেইজিং নতুন উপাদান যোগ করে দুর্লভ খনিজে রপ্তানি–নিয়ন্ত্রণ কড়াকড়ি করেছে। এর মধ্যেই তাইওয়ানের অর্থনীতি মন্ত্রণালয় বলছে—ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান থেকে তারা অধিকাংশ প্রয়োজন মেটাতে পারবে; রয়টার্সের বরাতে এ তথ্য জানা যায়। চিপ–খাতে ব্যবহারকারী সংস্থাগুলোর জন্য বাড়তি নজরদারি ও লাইসেন্সিং জটিলতা তৈরি হচ্ছে, তবে কর্তৃপক্ষ বিকল্প সরবরাহকারী ও মজুদের কথা বলছে। আগের গ্যালিয়াম–জার্মেনিয়াম–গ্রাফাইট নিয়ন্ত্রণের পর থেকেই তাইওয়ান ইনপুট–বৈচিত্র্যে জোর দিচ্ছে।
ইভি, টারবাইন, প্রতিরক্ষা—সবখানেই দুর্লভ খনিজের চাহিদা; আর খনি–প্রসেসিং–এ চীনের আধিপত্য। নতুন নিয়ন্ত্রণ পারমিট ধীর করতে পারে, কাগুজে দায় বাড়াতে পারে, লিড টাইম লম্বা করতে পারে—একইসঙ্গে অনুমোদিত চালানের দামও চড়া হতে পারে। হাই–রিলায়েবিলিটি সেক্টরে বিকল্প উপাদান ব্যবহার করতে গেলে পুনঃযোগ্যতা যাচাই সময়সাপেক্ষ। তাই সংস্থাগুলো মাল্টি–সোর্স চুক্তি, ইনভেন্টরি হেজ ও ম্যাগনেট–টু–মোটর রিডিজাইন ভাবছে।
চিপের বাইরেও বাজার–বার্তা
সরকারগুলো চীনের বাইরে প্রসেসিং সক্ষমতা বাড়াতে প্রণোদনা দিচ্ছে, কিন্তু রিফাইনারি–সেপারেশন স্কেল–আপে বছর লেগে যায়। বাণিজ্য আলোচনায় উত্তেজনা কমলে সহায়ক হবে—তবু কোম্পানিগুলো ধরে নিচ্ছে, রপ্তানি–নিয়ন্ত্রণ ও পাল্টা নিয়ন্ত্রণ চলবেই। তাইওয়ানের বার্তা অংশীদারদের আশ্বস্ত করা: একক উৎসের ঝুঁকি কমাতে তাদের হাতে বিকল্প আছে, প্রয়োজনে তা ব্যবহার করবে।