সংকটের মধ্যে বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচল স্থবির
গোলাগুলির ঘটনা পর পাকিস্তান তোরখাম সীমান্ত বন্ধ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ব্যস্ত এই স্থলপথে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীদের চলাচল স্থগিত থাকে। সেনাবাহিনী জানায়, নিরাপত্তা বিবেচনায় সাময়িকভাবে গেট বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি মূল্যায়ন চলছে। দুই পাশে শত শত ট্রাক আটকে আছে—সবজি, ফল, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী ও পরিবার বিভ্রাটে পড়েছেন। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত সময় জানায়নি; পরিস্থিতি স্থিতিশীল করে নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার কথা বলেছে।
বন্ধের খেসারত ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি
তোরখাম আফগানিস্তানের আমদানি-রপ্তানির প্রধান প্রবেশদ্বার এবং পাকিস্তানের কায়েদাবদ্ধ বাণিজ্যের বড় অংশ এই রুটে নির্ভরশীল। দীর্ঘসূত্রতা হলে ফ্রেইট চার্জ বাড়বে, চুক্তি ভাঙার ঝুঁকি থাকবে এবং আঞ্চলিক সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে। মানবিক সংস্থাগুলো আফগানিস্তানগামী চিকিৎসা সরঞ্জাম আটকে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। ইসলামাবাদ সীমান্তে শৃঙ্খলা ও অস্ত্রধারীদের নিয়ন্ত্রণে কাবুলের উদ্যোগ চাইছে; আফগান পক্ষ উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানায়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, উভয় দেশ দ্রুত ট্রেড চালুর প্রয়োজনীয়তা বুঝলেও পুনরাবৃত্ত বন্ধ আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে এবং অনানুষ্ঠানিক পথে চোরাচালান বাড়ায়—যা রাজস্ব ক্ষতি ও নিরাপত্তা ঝুঁকি উভয়ই ডেকে আনে। নিরাপত্তা সমন্বয়ের টেকসই রূপরেখা না এলে এই গুরুত্বপূর্ণ গেটওয়ে বারবার সংকটে পড়বে।