শিল্পের যুক্তি ও প্রতিশ্রুতি
জাপানের বড় গ্যাস কোম্পানিগুলো ওসাকা এক্সপোর মঞ্চে ‘ই-মিথেন’কে জলবায়ু-বান্ধব সমাধান হিসেবে তুলে ধরেছে। তাদের দাবি, বিদ্যমান পাইপলাইন ও যন্ত্রপাতি প্রায় অপরিবর্তিত রেখেই এই গ্যাস ব্যবহার সম্ভব, ফলে গ্রাহক ও অবকাঠামো খরচ কম। বিভিন্ন পাইলট প্রকল্প, বিদেশি অংশীদারিত্ব ও ‘নেট জিরো’ রোডম্যাপ দেখিয়ে তারা বলছে—বিশ্বস্ত সরবরাহ বজায় রেখে নির্গমন কমানো যাবে। উচ্চ বিদ্যুৎদর ও রূপান্তরজনিত অনিশ্চয়তায় ভোক্তাদের আশ্বস্ত করাই মূল লক্ষ্য। এই বার্তায় আরও যুক্ত হয়েছে—দ্রুত গৃহস্থালি পরিবর্তনের রাজনীতি এড়ানো যায়।
সমালোচনা: সবুজ ধোঁয়াশা ও সুযোগ-ব্যয়ের ঝুঁকি
জ্বালানি বিশ্লেষকরা বলছেন, ই-মিথেন তৈরি করতে বিপুল নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ও কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রয়োজন। ইনপুট যদি জীবাশ্মভিত্তিক হয় বা অতিরিক্ত সবুজ বিদ্যুতের নিশ্চয়তা না থাকে, তবে সারাজীবনভিত্তিক নির্গমন সাধারণ গ্যাসের কাছাকাছি বা বেশি হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস অবকাঠামোয় নতুন বিনিয়োগ ‘লক-ইন’ তৈরি করে সাশ্রয়ী বিদ্যুতায়ন—যেমন হিট পাম্প—থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে দিতে পারে। বিতর্কটি আসলে বৈশ্বিক—সিন্থেটিক জ্বালানি কি কেবল কঠিন খাতের জন্য সীমিত প্রয়োগে থাকবে, নাকি পুরোনো গ্যাস ব্যবস্থাকেই টিকিয়ে রাখবে? নীতিনির্ধারকদের তাই সীমিত সরকারি অর্থ সবচেয়ে দ্রুত ও বড় নির্গমন হ্রাসে কোথায় খরচ হবে, সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।