০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সিউলই পারে যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া পরমাণু আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে: বাস্তবতার পথে নতুন কৌশল মার্কিন বাজারে ভারতের রপ্তানি বাড়লেও ভেতরে দুর্বলতার ইঙ্গিত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা চীনা গবেষকদের নতুন তত্ত্ব: সময় কি সত্যিই পেছনে যায় না ফুজিয়ান যুদ্ধজাহাজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা, জে–১০সি’র সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা: ২০২৫ সালে চীনের সামরিক অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ দিক ব্রোঞ্জ যুগের কবরস্থান জানাল প্রাচীন চীনে লাল চালের মদ তৈরির রহস্য চীনের অফশোর ইউয়ান বড় মানসিক সীমা ভেঙে শক্তিশালী, মূল্যবৃদ্ধির গতি জোরালো ৫০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে আলোচিত ‘জুলাইযোদ্ধা’ সুরভী গ্রেপ্তার চার্চে উড়ো চিঠি ও হুমকিতে উদ্বেগ বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের জামায়াতের সঙ্গে জোটে এনসিপি কার্যত বিলীন হবে: আব্দুল কাদের রাউজানে একের পর এক হিন্দু বাড়িতে পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ, তথ্য দিলে পুরস্কার ঘোষণা পুলিশের

ওসাকা এক্সপোতে ‘ই-মিথেন’ প্রচার—জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন

শিল্পের যুক্তি ও প্রতিশ্রুতি
জাপানের বড় গ্যাস কোম্পানিগুলো ওসাকা এক্সপোর মঞ্চে ‘ই-মিথেন’কে জলবায়ু-বান্ধব সমাধান হিসেবে তুলে ধরেছে। তাদের দাবি, বিদ্যমান পাইপলাইন ও যন্ত্রপাতি প্রায় অপরিবর্তিত রেখেই এই গ্যাস ব্যবহার সম্ভব, ফলে গ্রাহক ও অবকাঠামো খরচ কম। বিভিন্ন পাইলট প্রকল্প, বিদেশি অংশীদারিত্ব ও ‘নেট জিরো’ রোডম্যাপ দেখিয়ে তারা বলছে—বিশ্বস্ত সরবরাহ বজায় রেখে নির্গমন কমানো যাবে। উচ্চ বিদ্যুৎদর ও রূপান্তরজনিত অনিশ্চয়তায় ভোক্তাদের আশ্বস্ত করাই মূল লক্ষ্য। এই বার্তায় আরও যুক্ত হয়েছে—দ্রুত গৃহস্থালি পরিবর্তনের রাজনীতি এড়ানো যায়।

সমালোচনা: সবুজ ধোঁয়াশা ও সুযোগ-ব্যয়ের ঝুঁকি
জ্বালানি বিশ্লেষকরা বলছেন, ই-মিথেন তৈরি করতে বিপুল নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ও কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রয়োজন। ইনপুট যদি জীবাশ্মভিত্তিক হয় বা অতিরিক্ত সবুজ বিদ্যুতের নিশ্চয়তা না থাকে, তবে সারাজীবনভিত্তিক নির্গমন সাধারণ গ্যাসের কাছাকাছি বা বেশি হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস অবকাঠামোয় নতুন বিনিয়োগ ‘লক-ইন’ তৈরি করে সাশ্রয়ী বিদ্যুতায়ন—যেমন হিট পাম্প—থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে দিতে পারে। বিতর্কটি আসলে বৈশ্বিক—সিন্থেটিক জ্বালানি কি কেবল কঠিন খাতের জন্য সীমিত প্রয়োগে থাকবে, নাকি পুরোনো গ্যাস ব্যবস্থাকেই টিকিয়ে রাখবে? নীতিনির্ধারকদের তাই সীমিত সরকারি অর্থ সবচেয়ে দ্রুত ও বড় নির্গমন হ্রাসে কোথায় খরচ হবে, সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিউলই পারে যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া পরমাণু আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে: বাস্তবতার পথে নতুন কৌশল

ওসাকা এক্সপোতে ‘ই-মিথেন’ প্রচার—জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন

০৩:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

শিল্পের যুক্তি ও প্রতিশ্রুতি
জাপানের বড় গ্যাস কোম্পানিগুলো ওসাকা এক্সপোর মঞ্চে ‘ই-মিথেন’কে জলবায়ু-বান্ধব সমাধান হিসেবে তুলে ধরেছে। তাদের দাবি, বিদ্যমান পাইপলাইন ও যন্ত্রপাতি প্রায় অপরিবর্তিত রেখেই এই গ্যাস ব্যবহার সম্ভব, ফলে গ্রাহক ও অবকাঠামো খরচ কম। বিভিন্ন পাইলট প্রকল্প, বিদেশি অংশীদারিত্ব ও ‘নেট জিরো’ রোডম্যাপ দেখিয়ে তারা বলছে—বিশ্বস্ত সরবরাহ বজায় রেখে নির্গমন কমানো যাবে। উচ্চ বিদ্যুৎদর ও রূপান্তরজনিত অনিশ্চয়তায় ভোক্তাদের আশ্বস্ত করাই মূল লক্ষ্য। এই বার্তায় আরও যুক্ত হয়েছে—দ্রুত গৃহস্থালি পরিবর্তনের রাজনীতি এড়ানো যায়।

সমালোচনা: সবুজ ধোঁয়াশা ও সুযোগ-ব্যয়ের ঝুঁকি
জ্বালানি বিশ্লেষকরা বলছেন, ই-মিথেন তৈরি করতে বিপুল নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ও কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রয়োজন। ইনপুট যদি জীবাশ্মভিত্তিক হয় বা অতিরিক্ত সবুজ বিদ্যুতের নিশ্চয়তা না থাকে, তবে সারাজীবনভিত্তিক নির্গমন সাধারণ গ্যাসের কাছাকাছি বা বেশি হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস অবকাঠামোয় নতুন বিনিয়োগ ‘লক-ইন’ তৈরি করে সাশ্রয়ী বিদ্যুতায়ন—যেমন হিট পাম্প—থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে দিতে পারে। বিতর্কটি আসলে বৈশ্বিক—সিন্থেটিক জ্বালানি কি কেবল কঠিন খাতের জন্য সীমিত প্রয়োগে থাকবে, নাকি পুরোনো গ্যাস ব্যবস্থাকেই টিকিয়ে রাখবে? নীতিনির্ধারকদের তাই সীমিত সরকারি অর্থ সবচেয়ে দ্রুত ও বড় নির্গমন হ্রাসে কোথায় খরচ হবে, সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।