০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

গৃহকর্মী কল্পনার নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

  • Sarakhon Report
  • ০২:২৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • 10

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ সকাল ১১.০০টায় রাজধানীর ভাটারা থানার সামনে জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় শিশু গৃহশ্রমিক কল্পনার উপর অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নির্যাতনকারীর বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি মমতাজ বেগম। পরিচালনা করেনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার নাহার। প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমেনা বেগম, মিনারা বেগম, সুমন শেখ, কাজী রেনু, সালমা বেগম, হোসনেয়ারা বেগম, হওয়া নূর বেগম, কহিনুর বেগম, কামাল আহমেদ, কামরুল হাসান প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, কিশোরী গৃহকর্মী কল্পনার উপর এক পৈশাচিক নির্যাতন করেছেন কল্পনার নিয়োগকর্তা আদর। এই পৈশাচিক নির্যাতনে কিশোরী কল্পনার চারটি দাঁত আঘাত দিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে এবং তার হাত-পা’সহ সমস্ত শরীরে প্রহার এবং গরম ছেক দিয়ে দগ্ধ করেছে। কিশোরী কল্পনা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর বার্ণ ইউনিটে জীবন মৃত্যুর লড়াই করছে। কল্পনার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা চুনারুঘাট উপজেলায়।

বাবা-মার দারিদ্রতার কারনে ১০ বছর বয়সে আদরের বাসায় কাজ শুরু করে। এই গত তিন বছর যাবত বাসায় বন্ধি রেখে শিশুটির উপরে নানাভাবে নির্যাতন করে আদর নামে এক ডাইনী। সরকার এই ডাইনীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করে তাকে গ্রেফতার করেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আদরীর সার্বিক অবস্থা দেখার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ছুটে যান এবং তাকে দেখে তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন এই ধরনের নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। তিনি এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তার চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই পাশবিক নির্যাতনের এমন বিচার করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের নির্যাতন করতে দুঃসাহস দেখাতে না পারে। একই সাথে নেতৃবৃন্দ গৃহশ্রমিকদের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে শ্রম আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করতে হবে। ২০১৫ সালে সরকার গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যান নীতি পাস করলেও তা বাস্তবায়নের কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। এই ব্যাপারে নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তারা দাবী করেন গৃহশ্রমিকদের অভিলম্বে শ্রম আইনের অন্তভূক্ত করতে হবে।

গৃহকর্মী কল্পনার নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

০২:২৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ সকাল ১১.০০টায় রাজধানীর ভাটারা থানার সামনে জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় শিশু গৃহশ্রমিক কল্পনার উপর অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নির্যাতনকারীর বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি মমতাজ বেগম। পরিচালনা করেনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার নাহার। প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমেনা বেগম, মিনারা বেগম, সুমন শেখ, কাজী রেনু, সালমা বেগম, হোসনেয়ারা বেগম, হওয়া নূর বেগম, কহিনুর বেগম, কামাল আহমেদ, কামরুল হাসান প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, কিশোরী গৃহকর্মী কল্পনার উপর এক পৈশাচিক নির্যাতন করেছেন কল্পনার নিয়োগকর্তা আদর। এই পৈশাচিক নির্যাতনে কিশোরী কল্পনার চারটি দাঁত আঘাত দিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে এবং তার হাত-পা’সহ সমস্ত শরীরে প্রহার এবং গরম ছেক দিয়ে দগ্ধ করেছে। কিশোরী কল্পনা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর বার্ণ ইউনিটে জীবন মৃত্যুর লড়াই করছে। কল্পনার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা চুনারুঘাট উপজেলায়।

বাবা-মার দারিদ্রতার কারনে ১০ বছর বয়সে আদরের বাসায় কাজ শুরু করে। এই গত তিন বছর যাবত বাসায় বন্ধি রেখে শিশুটির উপরে নানাভাবে নির্যাতন করে আদর নামে এক ডাইনী। সরকার এই ডাইনীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করে তাকে গ্রেফতার করেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আদরীর সার্বিক অবস্থা দেখার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ছুটে যান এবং তাকে দেখে তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন এই ধরনের নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। তিনি এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তার চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই পাশবিক নির্যাতনের এমন বিচার করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের নির্যাতন করতে দুঃসাহস দেখাতে না পারে। একই সাথে নেতৃবৃন্দ গৃহশ্রমিকদের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে শ্রম আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করতে হবে। ২০১৫ সালে সরকার গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যান নীতি পাস করলেও তা বাস্তবায়নের কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। এই ব্যাপারে নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তারা দাবী করেন গৃহশ্রমিকদের অভিলম্বে শ্রম আইনের অন্তভূক্ত করতে হবে।