০১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও শ্রমআইন সংশোধন করার দাবী

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • 19

নিজস্ব প্রতিবেদক 

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভা ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ বেগম সুফিয়া কামাল ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দ্রুত জাতীয় ন্যুনতম মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও  শ্রম আইন সংশোধনের দাবী জানানো হয়। টিইউসির সহ-সভাপতি তপন দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুরুতে বিদ্যমান শ্রম পরিস্থিতি ও সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন  করেন টিইউসির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।

সভায় বক্তব্য রাখেন টিইউসির সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম, অর্থ সম্পাদক কাজী মো: রুহুল আমিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মজনু, আইন ও দরকষাকষি সম্পাদক মোঃ মছিউদদোলা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহবুব বিন ছাইফ, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা ইফতেখার কামাল খান, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মান্নান, ইদ্রিস আলী, কমল বসাক, সাদেকুর রহমান শামীম মো: সিরাজুল ইসলাম।

সভায় বলা হয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্দ্ধগতি শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর উপর উচ্চহারে ভ্যাট ও কর আরোপ করার ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষকে আরো বেশি ভোগান্তিতে ফেলবে। শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবত কলকারখানা ও অঞ্চল ভিত্তিক রেশনের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, আটা ও শিশু খাদ্য সরবরাহের দাবি করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই। গৃহ কর্মীসহ অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের অনেক শ্রমিককে শ্রমিক হিসেবে গণ্য করা হয় না।  নারী শ্রমিকরা নানাভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হচ্ছে। শ্রেণী বৈষম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রম অধিকার সংকুচিত হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন বন্ধকৃত পাট সুতো বস্ত্র চিনিকলসহ সকল কলকারখানা আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু করা  প্রয়োজন।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও দেশের শ্রমজীবী মানুষের এখনো ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বিভিন্ন সময় সরকার পরিবর্তন ঘটলেও শ্রমিকদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তন হয় না। শ্রমিকদের অধিকারের প্রশ্নে মালিকদের মতামতই বিভিন্ন সরকারের নিকট বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। আর শ্রমিকদের মতামত উপেক্ষিত হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সেক্টরে নিম্নতম মজুরি ঘোষনা করলেও উক্ত ঘোষিত মজুরি মালিকরা বাস্তবায়ন করছেনা। নেতৃবৃন্দ ট্যানারিসহ বিভিন্ন সেক্টরের ঘোষিত মজুরি অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবী জানান।

অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও শ্রমআইন সংশোধন করার দাবী

০৬:০৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক 

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভা ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ বেগম সুফিয়া কামাল ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দ্রুত জাতীয় ন্যুনতম মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও  শ্রম আইন সংশোধনের দাবী জানানো হয়। টিইউসির সহ-সভাপতি তপন দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শুরুতে বিদ্যমান শ্রম পরিস্থিতি ও সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন  করেন টিইউসির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।

সভায় বক্তব্য রাখেন টিইউসির সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম, অর্থ সম্পাদক কাজী মো: রুহুল আমিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মজনু, আইন ও দরকষাকষি সম্পাদক মোঃ মছিউদদোলা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহবুব বিন ছাইফ, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা ইফতেখার কামাল খান, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মান্নান, ইদ্রিস আলী, কমল বসাক, সাদেকুর রহমান শামীম মো: সিরাজুল ইসলাম।

সভায় বলা হয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্দ্ধগতি শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর উপর উচ্চহারে ভ্যাট ও কর আরোপ করার ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষকে আরো বেশি ভোগান্তিতে ফেলবে। শ্রমিকরা দীর্ঘদিন যাবত কলকারখানা ও অঞ্চল ভিত্তিক রেশনের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, আটা ও শিশু খাদ্য সরবরাহের দাবি করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই। গৃহ কর্মীসহ অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের অনেক শ্রমিককে শ্রমিক হিসেবে গণ্য করা হয় না।  নারী শ্রমিকরা নানাভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হচ্ছে। শ্রেণী বৈষম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রম অধিকার সংকুচিত হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন বন্ধকৃত পাট সুতো বস্ত্র চিনিকলসহ সকল কলকারখানা আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু করা  প্রয়োজন।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও দেশের শ্রমজীবী মানুষের এখনো ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বিভিন্ন সময় সরকার পরিবর্তন ঘটলেও শ্রমিকদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তন হয় না। শ্রমিকদের অধিকারের প্রশ্নে মালিকদের মতামতই বিভিন্ন সরকারের নিকট বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। আর শ্রমিকদের মতামত উপেক্ষিত হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সেক্টরে নিম্নতম মজুরি ঘোষনা করলেও উক্ত ঘোষিত মজুরি মালিকরা বাস্তবায়ন করছেনা। নেতৃবৃন্দ ট্যানারিসহ বিভিন্ন সেক্টরের ঘোষিত মজুরি অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবী জানান।