১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছয় বছর পরও কি আমরা পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৫) একীভূত আইনি চুক্তির মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক বিচার চীনের জলসীমায় স্টারলিংক ব্যবহার: বিদেশি জাহাজকে জরিমানা প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪২) সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্থির আবহাওয়া: বৃষ্টি ও দুর্ঘটনায় দুবাই–শারজাহজুড়ে সন্ধ্যায় তীব্র যানজট অসম্ভবকে সম্ভব মনে করা অভিনেত্রী মিনি ড্রাইভার, পঞ্চান্নেও ব্যস্ত ও আত্মবিশ্বাসী জীবন যে সিনেমাটি দেখতে আমি ভয় পেয়েছিলাম অস্ট্রেলিয়ার ক্ষত সারাতে লড়াই: বন্ডি বিচ হত্যাযজ্ঞের পর ঐক্য আর বিভাজনের সন্ধিক্ষণ ঢাকায় উদীচী কার্যালয়ে হামলার পর অগ্নিকাণ্ড

মোদির ক্ষমতা এবং উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • 125

সারাক্ষণ রিপোর্ট

দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো একত্রে সংসদীয় আসন পুনঃরেখাকরণের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। এই পরিকল্পনায় নতুন জনসংখ্যা তথ্যের ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে, যা মোদির সমর্থকদের জন্য উত্তর ভারতের নির্বাচনী ক্ষমতা বাড়াবে। এর ফলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।

উত্তর ও দক্ষিণ: বিস্তৃত পার্থক্য
তামিলনাড়ুর বহু বছর ধরে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো মোদি সরকারের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে। দক্ষিণের উন্নত অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা – যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিনিয়োগ করা হয়েছে – এর বিপরীতে, এই পরিকল্পনা গণবহুল উত্তর রাজ্যগুলোকে বেশি সুযোগ দিচ্ছে। ফলে, উত্তরে আধিপত্যের আশঙ্কা ও প্রতিবাদ ও ক্ষমতার সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়তে পারে, যা সরকারি প্রকল্প ও কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে।

নতুন দিল্লি ও ক্ষমতার সংঘর্ষ
২০১৪ সালে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে, দক্ষিণ রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের মধ্যে অর্থ, অবকাঠামো প্রকল্প, দুর্যোগ মুক্তি ও ভাষা নীতিমালা নিয়ে বিরোধ বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ রাজ্যগুলো অভিযোগ করছে যে, উত্তরের প্রচলিত হিন্দি ভাষার প্রভাব তাদের নিজস্ব ভাষার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে। একইভাবে, ২০১১ সালের জনগণনা তথ্য ভিত্তিক ফেডারেল কর আয় বণ্টনের বিষয়ে পূর্বের মতবিরোধ আবার উঠে এসেছে। তামিলনাড়ু এমনকি ২০৫৬ সাল পর্যন্ত এই পুনঃরেখাকরণ প্রক্রিয়া বিলম্ব করতে চায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছয় বছর পরও কি আমরা পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত?

মোদির ক্ষমতা এবং উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন

০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো একত্রে সংসদীয় আসন পুনঃরেখাকরণের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। এই পরিকল্পনায় নতুন জনসংখ্যা তথ্যের ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে, যা মোদির সমর্থকদের জন্য উত্তর ভারতের নির্বাচনী ক্ষমতা বাড়াবে। এর ফলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে।

উত্তর ও দক্ষিণ: বিস্তৃত পার্থক্য
তামিলনাড়ুর বহু বছর ধরে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো মোদি সরকারের এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে। দক্ষিণের উন্নত অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা – যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিনিয়োগ করা হয়েছে – এর বিপরীতে, এই পরিকল্পনা গণবহুল উত্তর রাজ্যগুলোকে বেশি সুযোগ দিচ্ছে। ফলে, উত্তরে আধিপত্যের আশঙ্কা ও প্রতিবাদ ও ক্ষমতার সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়তে পারে, যা সরকারি প্রকল্প ও কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে।

নতুন দিল্লি ও ক্ষমতার সংঘর্ষ
২০১৪ সালে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে, দক্ষিণ রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের মধ্যে অর্থ, অবকাঠামো প্রকল্প, দুর্যোগ মুক্তি ও ভাষা নীতিমালা নিয়ে বিরোধ বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ রাজ্যগুলো অভিযোগ করছে যে, উত্তরের প্রচলিত হিন্দি ভাষার প্রভাব তাদের নিজস্ব ভাষার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে। একইভাবে, ২০১১ সালের জনগণনা তথ্য ভিত্তিক ফেডারেল কর আয় বণ্টনের বিষয়ে পূর্বের মতবিরোধ আবার উঠে এসেছে। তামিলনাড়ু এমনকি ২০৫৬ সাল পর্যন্ত এই পুনঃরেখাকরণ প্রক্রিয়া বিলম্ব করতে চায়।