০৩:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
মার্কিন বাজারে ভারতের রপ্তানি বাড়লেও ভেতরে দুর্বলতার ইঙ্গিত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা চীনা গবেষকদের নতুন তত্ত্ব: সময় কি সত্যিই পেছনে যায় না ফুজিয়ান যুদ্ধজাহাজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা, জে–১০সি’র সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা: ২০২৫ সালে চীনের সামরিক অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ দিক ব্রোঞ্জ যুগের কবরস্থান জানাল প্রাচীন চীনে লাল চালের মদ তৈরির রহস্য চীনের অফশোর ইউয়ান বড় মানসিক সীমা ভেঙে শক্তিশালী, মূল্যবৃদ্ধির গতি জোরালো ৫০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে আলোচিত ‘জুলাইযোদ্ধা’ সুরভী গ্রেপ্তার চার্চে উড়ো চিঠি ও হুমকিতে উদ্বেগ বাংলাদেশের খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের জামায়াতের সঙ্গে জোটে এনসিপি কার্যত বিলীন হবে: আব্দুল কাদের রাউজানে একের পর এক হিন্দু বাড়িতে পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ, তথ্য দিলে পুরস্কার ঘোষণা পুলিশের রাউজানে একের পর এক হিন্দু বাড়িতে পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ, তথ্য দিলে পুরস্কার ঘোষণা পুলিশের

নতুন ভূ- রাজনৈতিক বিশ্বে কারা লাভবান হচ্ছে ?

বিশ্ব অর্থনীতি এখন এক নতুন পর্বে প্রবেশ করেছে, যাকে অনেক বিশ্লেষক বলছেন “উত্তর-আমেরিকান যুগ”। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নেওয়া কঠোর নীতিগত পরিবর্তন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কাঠামো, আচরণ ও প্রতিষ্ঠানের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। এটি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফল, যার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় বড় রদবদল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র একধরনের বৈশ্বিক বিমাকারীর ভূমিকা নিয়েছিল। নৌপথ ও আকাশপথ নিরাপদ রাখা, সম্পত্তির সুরক্ষা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ম প্রণয়ন, এবং ডলারের স্থিতিশীল সম্পদে লেনদেনের নিশ্চয়তা ছিল মূল সুবিধা। এর বিনিময়ে দেশগুলো কম ঝুঁকিতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে পারত।

কিন্তু ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পাল্টে গেছে। এখন আর তারা সুরক্ষা দিচ্ছে না, বরং মুনাফা আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। বাজারে প্রবেশাধিকারের হুমকি, সামরিক জোটের সুবিধাকে অস্ত্র কেনা ও শিল্পপণ্য ক্রয়ের সঙ্গে শর্তযুক্ত করা, বিদেশি বিনিয়োগে ব্যক্তিগত অগ্রাধিকার চাপিয়ে দেওয়া—এসবই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আচরণের অংশ।

মিত্রদের জন্য ক্ষতিকর ফলাফল

ট্রাম্পের নীতির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা—জাপান, কানাডা, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাজ্য। উদাহরণস্বরূপ, জাপান কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আস্থা রেখে সেখানে বিনিয়োগ করেছে, সামরিক সহযোগিতা দিয়েছে এবং মার্কিন নীতির সঙ্গে তাল মিলিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তিতে জাপানের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ, বাধ্যতামূলক ক্রয় এবং বিনিয়োগ ফান্ড গঠনের চাপ দেশটির অর্থনীতিকে দুর্বল করছে।

কানাডাও যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। এভাবে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।

ইউরোপ ও আসিয়ানের বিকল্প পথ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আসিয়ান দেশগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তারা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিনিয়োগ করত এবং মার্কিন নীতিকে সমর্থন দিত। কিন্তু নতুন শুল্ক ও শর্তের কারণে তারা চীনসহ নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছে।

উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়া ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক শিল্প প্রকল্প, স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্যের চুক্তি, এবং সামুদ্রিক সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রকে বিস্মিত করেছে। একইসঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলো মার্কিন যুদ্ধবিমান বাদ দিয়ে ইউরোফাইটার কেনা শুরু করেছে।

ডলারের ওপর আস্থার সংকট

ট্রাম্প প্রশাসনের হুমকি ও অস্থির নীতি বিশ্বব্যাপী ডলার ও মার্কিন ট্রেজারি বন্ডকে অনির্ভরযোগ্য করে তুলছে। আগে এগুলো ছিল সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ। কিন্তু এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত। ফলে দীর্ঘমেয়াদে সুদের হার বাড়বে, মার্কিন ঋণ ব্যবস্থাপনায় চাপ তৈরি হবে এবং বিকল্প সম্পদ যেমন স্বর্ণ, পণ্যদ্রব্য ও ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝোঁক বাড়বে।

উদীয়মান অর্থনীতির বিভাজন

ট্রাম্পের নীতি বড় উদীয়মান অর্থনীতিগুলো যেমন ভারত, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্ককে তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী করেছে। কিন্তু মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশগুলো ঋণের বোঝায় আরও জর্জরিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ও বৈশ্বিক সংহতি কমে যাওয়ায় আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার দুর্বল দেশগুলো অর্থনৈতিক দিক থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

বৈশ্বিক সহযোগিতার বিকল্প প্রচেষ্টা

চীনের প্রভাব বাড়লেও অনেক দেশ আশঙ্কা করছে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের মতোই শর্ত আরোপকারী ‘বিমাকারী’ হয়ে উঠতে পারে। তাই ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু দেশ নতুন জোট তৈরির চেষ্টা করছে। ইইউ ও ট্রান্স-প্যাসিফিক জোট ইতিমধ্যেই নতুন বাণিজ্য কাঠামো গড়ে তোলার আলোচনা শুরু করেছে, যাতে বিশ্ব বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি এক বহুমুখী সংকট তৈরি করেছে। ঘনিষ্ঠ মিত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ইউরোপ ও এশিয়া বিকল্প পথ খুঁজছে, এবং ডলারের আধিপত্য দুর্বল হচ্ছে। অথচ চীন তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমশ বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, আর বিশ্বজুড়ে ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

অতএব, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নতুন ভূগোল তৈরি হচ্ছে—যেখানে আর কোনো একক প্রভাবশালী রাষ্ট্র নেই, বরং খণ্ডিত জোট ও ব্যয়বহুল আত্মনির্ভরতার দিকে দেশগুলো এগোচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন বাজারে ভারতের রপ্তানি বাড়লেও ভেতরে দুর্বলতার ইঙ্গিত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

নতুন ভূ- রাজনৈতিক বিশ্বে কারা লাভবান হচ্ছে ?

০৫:০৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

বিশ্ব অর্থনীতি এখন এক নতুন পর্বে প্রবেশ করেছে, যাকে অনেক বিশ্লেষক বলছেন “উত্তর-আমেরিকান যুগ”। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নেওয়া কঠোর নীতিগত পরিবর্তন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কাঠামো, আচরণ ও প্রতিষ্ঠানের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। এটি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফল, যার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় বড় রদবদল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র একধরনের বৈশ্বিক বিমাকারীর ভূমিকা নিয়েছিল। নৌপথ ও আকাশপথ নিরাপদ রাখা, সম্পত্তির সুরক্ষা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ম প্রণয়ন, এবং ডলারের স্থিতিশীল সম্পদে লেনদেনের নিশ্চয়তা ছিল মূল সুবিধা। এর বিনিময়ে দেশগুলো কম ঝুঁকিতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে পারত।

কিন্তু ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পাল্টে গেছে। এখন আর তারা সুরক্ষা দিচ্ছে না, বরং মুনাফা আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। বাজারে প্রবেশাধিকারের হুমকি, সামরিক জোটের সুবিধাকে অস্ত্র কেনা ও শিল্পপণ্য ক্রয়ের সঙ্গে শর্তযুক্ত করা, বিদেশি বিনিয়োগে ব্যক্তিগত অগ্রাধিকার চাপিয়ে দেওয়া—এসবই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আচরণের অংশ।

মিত্রদের জন্য ক্ষতিকর ফলাফল

ট্রাম্পের নীতির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা—জাপান, কানাডা, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাজ্য। উদাহরণস্বরূপ, জাপান কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আস্থা রেখে সেখানে বিনিয়োগ করেছে, সামরিক সহযোগিতা দিয়েছে এবং মার্কিন নীতির সঙ্গে তাল মিলিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তিতে জাপানের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ, বাধ্যতামূলক ক্রয় এবং বিনিয়োগ ফান্ড গঠনের চাপ দেশটির অর্থনীতিকে দুর্বল করছে।

কানাডাও যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। এভাবে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।

ইউরোপ ও আসিয়ানের বিকল্প পথ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আসিয়ান দেশগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তারা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিনিয়োগ করত এবং মার্কিন নীতিকে সমর্থন দিত। কিন্তু নতুন শুল্ক ও শর্তের কারণে তারা চীনসহ নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছে।

উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়া ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক শিল্প প্রকল্প, স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্যের চুক্তি, এবং সামুদ্রিক সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রকে বিস্মিত করেছে। একইসঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলো মার্কিন যুদ্ধবিমান বাদ দিয়ে ইউরোফাইটার কেনা শুরু করেছে।

ডলারের ওপর আস্থার সংকট

ট্রাম্প প্রশাসনের হুমকি ও অস্থির নীতি বিশ্বব্যাপী ডলার ও মার্কিন ট্রেজারি বন্ডকে অনির্ভরযোগ্য করে তুলছে। আগে এগুলো ছিল সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ। কিন্তু এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত। ফলে দীর্ঘমেয়াদে সুদের হার বাড়বে, মার্কিন ঋণ ব্যবস্থাপনায় চাপ তৈরি হবে এবং বিকল্প সম্পদ যেমন স্বর্ণ, পণ্যদ্রব্য ও ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝোঁক বাড়বে।

উদীয়মান অর্থনীতির বিভাজন

ট্রাম্পের নীতি বড় উদীয়মান অর্থনীতিগুলো যেমন ভারত, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও তুরস্ককে তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী করেছে। কিন্তু মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশগুলো ঋণের বোঝায় আরও জর্জরিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ও বৈশ্বিক সংহতি কমে যাওয়ায় আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার দুর্বল দেশগুলো অর্থনৈতিক দিক থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

বৈশ্বিক সহযোগিতার বিকল্প প্রচেষ্টা

চীনের প্রভাব বাড়লেও অনেক দেশ আশঙ্কা করছে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের মতোই শর্ত আরোপকারী ‘বিমাকারী’ হয়ে উঠতে পারে। তাই ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু দেশ নতুন জোট তৈরির চেষ্টা করছে। ইইউ ও ট্রান্স-প্যাসিফিক জোট ইতিমধ্যেই নতুন বাণিজ্য কাঠামো গড়ে তোলার আলোচনা শুরু করেছে, যাতে বিশ্ব বাণিজ্যে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি এক বহুমুখী সংকট তৈরি করেছে। ঘনিষ্ঠ মিত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ইউরোপ ও এশিয়া বিকল্প পথ খুঁজছে, এবং ডলারের আধিপত্য দুর্বল হচ্ছে। অথচ চীন তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমশ বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, আর বিশ্বজুড়ে ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

অতএব, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নতুন ভূগোল তৈরি হচ্ছে—যেখানে আর কোনো একক প্রভাবশালী রাষ্ট্র নেই, বরং খণ্ডিত জোট ও ব্যয়বহুল আত্মনির্ভরতার দিকে দেশগুলো এগোচ্ছে।