সাহিত্য

০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

বড়ু বড়ু তাহাই করিল। তারপর আমাকে যেন খুশি করিবার জন্য একথা সে-কথা কত কথাই বলিল, “ভাই! তোমার শরীরটা যেন খারাপ

বড়ু সেবার শুনিতে পাইলাম, বড়ুর হাতে গলায় যে কয়খানা সোনার গহনা তার বাপ তাহাকে বিবাহের আগে দিয়াছিল, তাহা চোরে লইয়া

বড়ু “ঘরে ত আছে লো, ও বউ লো কৌটা ভরা সিন্দুর লো, তুমি উহাই দেইখা পাশইরো রামসাধুরে।” “ও কৌটার সিন্দুর

বড়ু কোনো কোনোদিন আসিয়া দেখিতাম, সে উঠানের এক কোণে রান্না করিতেছে। আমি অদূরে পিঁড়ি পাতিয়া বসিতাম। উনানে দাউদাউ করিয়া আগুন

বড়ু সেদিন তাহারা আরও কি কি গান গাহিয়াছিল মনে নাই। বাড়ি ফিরিতে ফিরিতে কেবলই মনে হইতেছিল, এই অভাগিনী ভানু নামের

বড়ু ইহারও বহুদিন পরে। তখন আমি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ পড়ি। যখনই আমি দেশে আসিতাম গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে যাইতাম। সেবার

তেহের ফকির দাউদাউ করিয়া ধামাইলের কাঠ জ্বলিতে লাগিল। ফকির তখন হাতে সুন্দরী কাঠের একখানা রুল লইয়া সেই আগুনের চারিদিকে ঘুরিতে

আর্কাদি গাইদার চতুর্থ পরিচ্ছেদ ‘ইডিয়ট কোথাকার!’ মনে মনে বললুম আমি। অপমানে আর সুখারেভের প্রতি ঘেন্নায় আমার মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে উঠেছিল।

তেহের ফকির আমাদের গ্রামে বাঁশ নাচানো দেখানো শেষ হইলে ফকিরের শিষ্যেরা অন্যান্য গ্রামে যাইত। শোভারামপুর, গোয়ালচামট, পরানপুর, শ্যামসুন্দরপুর, কত গ্রামেই

আর্কাদি গাইদার চতুর্থ পরিচ্ছেদ ও’দের কথাবার্তা কিছু, কিছু কানে আসছিল আমার: ‘এগিয়ে গিয়ে খাদটা এটু পরখ করি দেখা দরকার।’ ‘ঘোড়সওয়ার