আর্কাদি গাইদার পঞ্চম পরিচ্ছেদ ‘তুমি খাদের ডাইনে উৎরাইয়ের মাথায় যাও,’ চুবুক আমাকে হুকুম করলেন। ‘শাকভ যাক বাঁয়ের উৎরাইয়ের মাথায়। আমি খাদের নিচে লামব, এক্কেবারে মাঝখানে। কিছু দেখতে পেলি অনি ইসারা
রাজশেখর বসু পুরাণে আছে, বালখিল্য মুনিরা বুড়ো আঙুলের মতন লম্বা এবং সংখ্যায় ষাট হাজার। তাঁদের পিতার নাম কুতু, মাতার নাম ক্রিয়া। এই বৃত্তান্ত অসম্পূর্ণ এতে কিছু ভুলও আছে। বালখিল্যগণের প্রকৃত
বড়ু বড়ু তাহাই করিল। তারপর আমাকে যেন খুশি করিবার জন্য একথা সে-কথা কত কথাই বলিল, “ভাই! তোমার শরীরটা যেন খারাপ হইয়া পড়িয়াছে। ভালোমতো খাওয়াদাওয়া কর। আচ্ছা ভাই। তুমি এত বড়
বড়ু সেবার শুনিতে পাইলাম, বড়ুর হাতে গলায় যে কয়খানা সোনার গহনা তার বাপ তাহাকে বিবাহের আগে দিয়াছিল, তাহা চোরে লইয়া গিয়াছে। বড়ু বসিয়া কাঁদিতেছে। বস্তুকে কি আর সান্ত্বনা দিব। মেয়েরা
বড়ু “ঘরে ত আছে লো, ও বউ লো কৌটা ভরা সিন্দুর লো, তুমি উহাই দেইখা পাশইরো রামসাধুরে।” “ও কৌটার সিন্দুর লো, শাউড়ি আমি বাতাসে উড়াব লো, আমি তবু যাব রামসাধুর
বড়ু কোনো কোনোদিন আসিয়া দেখিতাম, সে উঠানের এক কোণে রান্না করিতেছে। আমি অদূরে পিঁড়ি পাতিয়া বসিতাম। উনানে দাউদাউ করিয়া আগুন জ্বলিতেছে। সেই আগুনের তাপে তার মুখে ফোঁটায় ফোঁটায় মুক্তাবিন্দুর মতো
বড়ু সেদিন তাহারা আরও কি কি গান গাহিয়াছিল মনে নাই। বাড়ি ফিরিতে ফিরিতে কেবলই মনে হইতেছিল, এই অভাগিনী ভানু নামের মেয়েটি যেন বস্তু। অপরিণত বয়সে তাহার বিবাহ হইল। বিবাহের পাশা
বড়ু ইহারও বহুদিন পরে। তখন আমি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ পড়ি। যখনই আমি দেশে আসিতাম গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে যাইতাম। সেবার যাইয়া দেখি রহিম মল্লিকের মেয়ে বস্তু দেখিতে কি সুন্দর হইয়াছে।
তেহের ফকির দাউদাউ করিয়া ধামাইলের কাঠ জ্বলিতে লাগিল। ফকির তখন হাতে সুন্দরী কাঠের একখানা রুল লইয়া সেই আগুনের চারিদিকে ঘুরিতে লাগিলেন। ঢাকের বাদ্য প্রায় গম্ভীর হইয়া আসিল। আগুন দাউদাউ করিয়া
আর্কাদি গাইদার চতুর্থ পরিচ্ছেদ ‘ইডিয়ট কোথাকার!’ মনে মনে বললুম আমি। অপমানে আর সুখারেভের প্রতি ঘেন্নায় আমার মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে উঠেছিল। ‘অন্য সকলের সামনে আমার সম্বন্ধে এ-সব কথা বলে কী করে?