আসাদ মান্নান যেখানে বসন্তে ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের ঘূর্ণিঝড়ে নীলিমা বিধ্বস্ত হলে ডুকরে কাঁদে চন্দ্রাবতী খুকু, সুনামির আগ্রাসনে লণ্ডভণ্ড সাজানো সংসার ; রবীন্দ্র রচনাবলি ধূলোপড়া ভূতুড়ে খোঁয়াড়ে; ঋতুবতী বালিকার স্বপ্নমালা শূন্যে ঝুলে
অন্যান্য সেবাকাজ তখনকার দিনে আমার জীবনের লক্ষ্য ছিল বড় হইয়া আমি সাধু-সন্ন্যাসী হইব। অবশিষ্ট জীবন পরের উপকার করিয়া কাটাইব। কবি বা সাহিত্যিক হইবার আকাঙ্ক্ষা তখনও মনে তেমন উচ্চ আশা বাঁধে
আর্কাদি গাইদার তৃতীয় পরিচ্ছেদ মনে হত, সুতোয় লাগানোর জন্যে ব্যবহার করার সময় ধারালো মোমের কানায় লেগে ক্ষতবিক্ষত হাতের ঘা ওঁর তখনও যেন শুকোয় নি, হাতের কালো কালির দাগও যেন ওঠে
আর্কাদি গাইদার তৃতীয় পরিচ্ছেদ টেবিলে আন্তে-আন্তে আঙুলের টোকা দিতে-দিতে কম্যান্ডার প্রস্তাবটা নিয়ে ভাবতে লাগলেন। পরে বললেন: ‘ঠিক আচে। চুবুক, তুমি ছেলেটিরে লিয়ে এক লম্বর কোম্পানিতে যাও। গিয়ে সুখারেভরে কও পাল্কা
সুবোধ ডাক্তার কতদিন ডাক্তারবাবুর সঙ্গে তাঁহার রোগীর বাড়ি গিয়াছি। একবার আমাদের গ্রামের একটি চাষীর বাড়িতে যাইয়া দেখিলাম ভিজা স্যাঁতসেঁতে মেঝের উপর একটি ছেঁড়া মাদুরের উপর রোগী শুইয়া আছে। ডাক্তারবাবু প্রথমেই
আবু ইসহাক আরবির শিক্ষক মৌলবি সাহেব দশম শ্রেণীর আরবির ক্লাস নিতে আসছেন। তাঁর এক হাতে আরবির পাঠ্য বই, অন্য হাতে বেত। ১৯৪১ সালের কথা। সে সময়ে পড়া না পারলে বা
সুবোধ ডাক্তার ডাক্তারবাবুর কথাগুলি এমনই স্নেহপূর্ণ আর হৃদ্যতা-মাখানো যে পরদিন হইতে আমি আবার যাইয়া মোনা মল্লিককে দেখাশুনা করিতে লাগিলাম। অসুখ হইতে সারিয়া উঠিয়া মোনা মল্লিক আরও কয়েক বৎসর বাঁচিয়াছিল। তাহার
আর্কাদি গাইদার তৃতীয় পরিচ্ছেদ কাঁড়েঘরটায় না-ঢোকা পর্যন্ত লোকটিকে ভালো করে দেখতে পাই নি। এবার লক্ষর বাতির আবছা আলোয় ঠাহর করে দেখলুম। লোকটির দাড়িগোঁফ পরিষ্কার কামানো। লম্বা সরু মুখটা এবড়োখেবড়ো। মোটা-মোটা
রাজশেখর বসু চাটুজ্যেমশায় পাঁজি দেখিয়া বলিলেন-‘রাত্রি ন-টা সাতান্ন মিনিট গতে অম্বরাচা নিবৃত্তি। তার আগে এই বৃষ্টি থামবে না। এখন তো সবে সন্ধ্যে।’ বিনোদ উকিল বলিলেন-‘তাই তো, বাসায় ফেরা যায় কি
সুবোধ ডাক্তার আমি রোজ যাইয়া মোনা মল্লিককে দেখাশুনা করিতে লাগিলাম। ডাক্তারের নির্দেশমতো প্রতিদিন তাহাকে ডুস দিয়া পায়খানা করাইতে হইত। গরম পানি দিয়া সমস্ত গা মুছাইয়া দিতে হইত। তাহা ছাড়া গরম